ঢাকা: গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে কিন্তু ইসরায়েলিরা যুদ্ধে বিরতি দেয়নি। তারা মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করছে। ইসরায়েলের যুদ্ধের পেছনে রসদ যোগাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণ অধিবেশনে ১৫টি রাষ্ট্রের ১৩টি যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের যেমন হত্যা করা হয়েছে, ফিলিস্তিনেও তেমনি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হচ্ছে; যারা দেশের পক্ষে বৈশ্বিক জনমত তৈরি করছিল।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশচন্দ্র বাছার বলেন, গাজায় ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজারের বেশি নারী এবং ৪ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই যুদ্ধ তাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিল, তাদের যারা মদদ দিয়েছিল, তাদের ব্যাপারে মানবাধিকার কোথায় ছিল?
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হচ্ছে গাজার বিশ লাখ মানুষ। ইতোমধ্যে বিশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, গাজার এক ইঞ্চি জায়গাও ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ না। কাজেই এই দমন, নিপীড়ন, শোষণ, নির্যাতন ও ঔপনিবেশিক শাসন বন্ধ করতে হবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং শিক্ষক সমিতির নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমজেএফ