ঢাকা: রাজধানীতে এলিফ্যান্ট রোড ও খিলগাঁও গোড়ানে দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- তানিয়া আক্তার তানহা (১৩) ও টাইলস মিস্ত্রি আরিফ শিকদার (২৬)।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ তাদের মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের তছমুল আলীর মেয়ে তানহা। তানহার চাচা মো. এনামুল ইসলাম জানান, তার বাবা-মায়ের বহু বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বর্তমানে এলিফ্যান্ট রোডের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারে খালা সুমা আক্তারের বাসায় থাকতো সে। পড়ালেখা করতো না।
তিনি আরও জানান, তাদেরই আত্মীয়ের মধ্যে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তানহার। তবে বিষয়টি তানহার পরিবারের কেউই মেনে নিচ্ছিলেন না। সে কারণে বাবার সঙ্গে ফোনে তার রাগারাগি হয়। গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার খালা দেখতে পান, রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে। পরে খবর দিলে নিউমার্কেট থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়।
এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছইলাবুনিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর শিকদারের ছেলে আরিফ। বর্তমানে খিলগাঁও উত্তর গোড়ান কৃষ্ণচূড়া গলির একটি টিনসেড বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
টাইলস মিস্ত্রি আরিফের ফুপাতো ভাই রাজীব গাজী জানান, আরিফের স্ত্রী ও এক ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে। গতরাতে আরিফ তার বড় বোনকে ফোন দিয়ে বলতে থাকেন, তিনি কোনো ভুল করে থাকলে তাকে যেন মাফ করে দেয়। এর পরই ফোন কেটে দেন তিনি। পরে তার বোন আরিফকে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করছিলেন না। একপর্যায়ে আরিফের ভগ্নিপতি ওই বাসায় গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করেন। তবে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল। জানলা দিয়ে দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন তিনি। তখন তারা দরজা ভেঙে আরিফকে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নিচে নামান। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মধ্যরাতে পৃথক ঘটনায় থানা পুলিশ দুইটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
এজেডএস/এফআর