ঢাকা: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীপাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।
আলোচনা পর্বে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সব সদস্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিহত সব শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বুদ্ধিজীবীদের দেশ ও জাতির উন্নয়নের রুপকার হিসেবে উল্লেখ করে স্বাধীনতা যুদ্ধ সহ বাঙ্গালীর জাতিসত্তা গঠনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন যে, জাতির এ বীর সন্তানেরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন, মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ দেওয়াসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে দেশের সাফল্যের পথ প্রশস্ত করেন।
তিনি আরো বলেন যে, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ থেকেই বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়, যা যুদ্ধের শেষপ্রান্তে গিয়ে চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার, তাদের আদর্শ অনুসরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা গেলেই তাদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মিয়ানমার প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদান তুলে ধরেন। তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপর জোর দিয়ে দিবসটি আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শেষদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
টিআর/আরএইচ