যশোর: পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আমাদের ক্ষেতে অনেক পেঁয়াজ আছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরে এক কর্মশালা শেষে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ফলন দেখে তিনি এই প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি কৃষকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে এই আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা শেষে যশোর অঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিম নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ফলনের নমুনা উপস্থাপন করেন। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার এ সময় এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কৃষকরাও কিন্তু দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়নি। সরকার কিন্তু সবসময় তাদের পাশে থাকে। কৃষকরা অল্প অল্প করে পেঁয়াজ ছেড়ে সারা বছর পেঁয়াজের দামটা ধরে রেখেছে। আমাদের যেমন কৃষকের প্রতি দায়িত্ব আছে, তেমনি ভোক্তার প্রতিও কিছুটা দায়িত্ব আছে। সুতরাং আমরা (কৃষকদের) যে সুবিধাটা দেবো, তার বিনিময়ে তো কিছু চাইতেও পারি। সেখানে সীমা লঙ্ঘন করাটা ঠিক না কখনই।
কৃষি সচিব উল্লেখ করেন, আমাদের নাসিক এন-৫৩ গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ অনেক বড় হচ্ছে। বিশেষ করে এখন বাজারে যে লাল পেঁয়াজ রয়েছে, এটি কিন্তু আমাদের দেশের। যদিও এটিকে অনেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ মনে করছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিম জানান, নাসিক এন-৫৩ পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত। এই পেঁয়াজ সারাবছর চাষ করা সম্ভব। এবং এর মাধ্যমে সারা বছর আমরা পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পারবো। আকারে বড় এই পেঁয়াজ ছয়টিতে এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
ইউজি/এসএম