জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের একটি বগিতে আগুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন।
ওসি মুক্তার হোসেন বলেন, ট্রেনটি শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে জয়পুরহাট রেলস্টেশন অভিমুখে ছেড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা একটি বগিতে আগুন দেয়। জয়পুরহাট রেলস্টেশনে বগিতে আগুন জ্বলতে দেখে রেলওয়ে ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ওই বগিতে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এটি নাশকতার ঘটনা বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জয়পুরহাট রেল স্টেশন ও রেলওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে জয়পুরহাট রেল স্টেশনের দিকে ছেড়ে যায়। চলন্ত ট্রেনের একটি বগিতে আগুন জ্বলতে থাকে। ট্রেনটি জয়পুরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ে ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ট্রেনের ওই বগিতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন রমজান আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তি। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার সরস্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, উত্তরা ট্রেনের ওই বগিতে আমিসহ ১০ থেকে ১২ যাত্রী ছিলাম। পাঁচ থেকে ছয়জন কাপড় নিয়ে পার্বতীপুরে যাওয়ার উদ্দেশে তিলকপুর রেলস্টেশন থেকে উত্তরা ট্রেনের ওই বগিতে উঠে বসি। ট্রেনটি আক্কেলপুর ও জামালগঞ্জ রেল স্টেশন ছেড়েছে। তখন আমাদের সবার চোখে ঘুমঘুম ভাব ছিল। জয়পুরহাট রেলস্টেশনে পৌঁছার আগে বগিতে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। দেখি, আমাদের আসনের কয়েকটি আসন পরে একটি আসনে আগুন জ্বলছে। তখন পেট্রলের গন্ধও পাচ্ছিলাম। আগুন বাড়তে থাকায় আমরা ভয় পাচ্ছিলাম।
এ ঘটনার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। তখন আমরা দ্রুত রেলস্টেশনে নেমে পড়ি। পরে লোকজন এসে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আমাদের বগিতে থাকা যাত্রী বেশে কেউ ওঠে আগুন দিয়েছে। যদি ট্রেনটি রেল স্টেশনে পৌঁছাতে একটু দেরি হতো তাহলে হয়ত ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আমরা মারা যেতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩
এসএম