নেত্রকোনা: রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় নেত্রকোনার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউরা ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৩)।
পারিবারিক সূত্রে স্থানীয়রা জানান, ৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে তারা বেড়ানোর উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার বরুনা এসেছিলেন। সেখান থেকেই সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। নাদিরা আক্তার পপির সঙ্গে ছিল দুই ছেলে ইয়াসিন (৩) ও ফাহিম (৮) এবং ভাই হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে সোমবার রাত ১১টায় ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে এসে থামলে কিছু যাত্রী নেমে যান। এসময় নাদিরাদের পেছনের ছিটে থাকা দুই ব্যক্তিও নেমে যান। এরপরেই পেছনের ছিট থেকে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বগি থেকে দৌড়ে হাবিবুর ও ফাহিমসহ অন্য যাত্রীরা নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়ে ছোট ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই বের করতে পারেননি। পরে সকালে ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ বের করেন। নিহত নাদিরার স্বামী মিজানুর রহমান মিজান কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যার দোকানে কাজ করেন। তিনি তেজগাঁও তেজতুরি বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
আরএ