ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগে চার ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনায় জড়িতদের নিরাপত্তা বাহিনী খুঁজে বের করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চলন্ত ট্রেনে আগুনে মা তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরে অঙ্গার হয়ে গেছেন। যারা এই নাশকতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, যারা অমানুষ, যারা জানোয়ার তারাই এসব ঘটনা ঘটাতে পারে। যারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করবে।

নাশকতার মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবশ্যই সুন্দরভাবে হবে। যারা নাশকতা করছে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। নিরাপত্তা বাহিনী তো রয়েছেই। তারা দক্ষ। নাশকতার শেকড় খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে। গাজীপুরে যারা রেল লাইন উপড়ে ফেলেছে তাদের শনাক্ত করে ধরা হয়েছে। ওই এলাকার যুবদলের নেতা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সবাই জানেন। যতগুলো শনাক্ত করে ধরা হয়েছে, তারা হয় ছাত্রদল কিংবা যুবদল বা স্থানীয় বিএনপির কোনো নেতা।

তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে তাদের ‘ধ্বংস করার’ নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, তারা করছেও। বিএনপিতে যারা দেশকে ও দলকে ভালোবাসে, তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। বিএনপি ভেঙে আরও দুটি নতুন দল তৈরি হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তারা যখন নিজের দলকে গোছাতে ব্যর্থ তখন তারা সর্বশেষ হাতিয়ার হিসেবে মানুষ হত্যার চেষ্টা করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশের জনগণ যখন তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখনই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রমাগত কর্মসূচি দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে যাতে নির্বাচন না হয়। গত ২৮ অক্টোবরের পর তারা একের পর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাসে আগুন দিয়ে হেলপারসহ পুড়িয়ে এবার তারা রেল লাইন উপড়ে ফেলে দিচ্ছে।

তারা অব্যাহত নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও তারা এমন নাশকতা করেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আর সরকার বদলানোরও একমাত্র উপায় জনগণের ম্যান্ডেট। যে কারণে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৪৩টির মধ্যে ২৯টি দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, বিএনপির এতো নাশকতার পরেও মানুষ যখন নির্বাচনমুখী হয়েছে, একটা উৎসবমুখর পরিবেশের দিকে যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে যখন ভোটের আমেজ তৈরি হয়েছে তখনই তারা অসহযোগ আন্দোলন করছে। আমার প্রশ্ন, যারা এই অসহযোগ আন্দোলন করছে, তাদের বাসার বিদ্যুৎ যদি চলে যায়, পানি বন্ধ হয়ে যায়, যেহেতু তারাই চাচ্ছেন, বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ হয়ে যাক, সরকার অচল হয়ে পড়ুক, তাহলে কী হবে? তারা কী সেটা বুঝতে পেরেছেন? গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল না দিলে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ, সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রে যেটা করে, তাদের ক্ষেত্রেও সেটা করবে। তাহলে কী হবে? সেটাও তাদের চিন্তায় আনা উচিত। আর জনগণ তাদের জানে, তাদের ডাকে জনগণ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। জনগণ সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিয়ে সময়মতো ভোট দেবে।

এ ক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব একটি সুন্দর নির্বাচন করা। তারা সর্বাত্মক সেই চেষ্টা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে সেই নির্দেশনা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যা করা উচিত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাই করবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অনেক দক্ষ, তারা অনেক নির্বাচন করে, অনেক সহিংসতা মোকাবিলা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।