ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাহিনীর সদস্য দোষী হলে ছাড় নয়: বিপ্লব কুমার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
বাহিনীর সদস্য দোষী হলে ছাড় নয়: বিপ্লব কুমার

ঢাকা: পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সদস্যকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির শাহ আলী থানার দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমাদের অভিভাবক আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত দুই লাখ ১০ হাজারের বিশাল বাহিনী পুলিশ বাহিনী। এ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই- তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধ প্রবণতার মানুষ থাকতে পারে।

কিন্তু অপরাধ করার পরে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সনাক্ত করে ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হই না। বিভাগীয় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা পিছ পা হই না। মামলা গ্রহণেও বিচলিত হই না। এটাই পুলিশের সৌন্দর্য।

বিপ্লব বলেন, আমাদের পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হওয়ার পরও যদি কেউ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে বা ফৌজদারি অপরাধ করে তখন সে পুলিশ নাকি সাধারণ মানুষ সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয় না। আমরা তাকে একজন অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করি। সে যদি আমাদের বাহিনীর সদস্যও হয় অবশ্যই সে একজন অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় এবং বিভাগীয় আইনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই দুজনের (শাহ আলী থানার এসআই) ক্ষেত্রেই একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। যখনই কোনো ঘটনা নিয়ে মামলা হয়ে যায় সেটি নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু মামলা হয়েছে, আমাদের সদস্যকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা যে বিষয়টি নিশ্চিত করবো সেটি হলো সুষ্ঠু তদন্ত করা। আমার বাহিনীর সদস্য দোষী হলে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সুষ্ঠু হবে এটাই আমরা নিশ্চিত করা।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় অপহরণ করে জিম্মি রেখে ৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে গত ১৪ ডিসেম্বর এক ভুক্তভোগী মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপসকে। আদালতের নির্দেশে তারা তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
পিএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।