ঢাকা: জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাবুল হোসেনের আইনজীবী জামিন চাইলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জামিন শুনানি করেন। কোর্টে ছিলেন বাবুল হোসেনের গাজীপুরের আইনজীবী সোহাইল জামিল সরকার।
আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, বাবুল হেসেন এজাহারভুক্ত আসামি নন। ঘটনার ১৪ দিন পর তাকে কেবল সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেপ্তার করে বাসন থানা। পুলিশ প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট উল্লেখ করা আছে যে, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন আশুলিয়ার ভাদাইল গ্রামে টেইলারিং দোকানে কাজ করেন। ফলে ৩০ অক্টোবর তিনি কীভাবে যুক্ত, তা পরিষ্কারভাবে পুলিশ ফরোয়ার্ডিংয়ে উল্লেখ নেই।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, কেবল গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবুল হোসেনের জামিনের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, বাবুল হোসেন পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের অন্যতম নেতা। সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তাকে আজ ৩৮ দিন কারাভোগ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতিতে জামিন না হওয়া প্রমাণ করে জামিন বিচার কাজের বিষয় নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এভাবে জামিনযোগ্য মামলা নামঞ্জুরের কারণে বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে জনগণ।
গার্মেন্ট সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন ও গণসংহতি আন্দোলন মিরপুর অঞ্চলের নেতা মরণ আলীসহ কারাবন্দি সকল নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
ঢাকা জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক বাচ্চু ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরিকুল সুজন, ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এমজেএফ