নীলফামারী: রেলপথে নাশকতা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের জন্য ট্রেনযাত্রা ‘ভয়ংকর’ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে খুব কম যাত্রী ট্রেনে চলাচল করছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সারা বছর ধরেই থাকে। এ উপজেলা ছাড়াও পাশের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের যাত্রীরা এ রুটে যাতায়াত করেন নিয়মিত। এখান থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী রুটে পাঁচটি আন্তঃনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এ স্টেশনে প্রায় দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু সম্প্রতি ট্রেনে নাশকতার জেরে এখানকার টিকিট বিক্রি কমে গেছে।
সৈয়দপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের নেই কোনো ভিড়। চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেনের ভেতরের আসনগুলোর বেশির ভাগই খালি। অনলাইন টিকিটেও অনেক আসন অবিক্রীত দেখা যায়। যখন-তখন ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। যাতায়াত করতে ভয় লাগে। কাজের প্রয়োজনে ট্রেনে উঠতে হয়। অনেক যাত্রী এখন ভয়ে ভয়ে ট্রেনে উঠছেন।
শহরের ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার বিপ্লব হোসেন বলেন, আমি নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করি। কিন্তু ট্রেনে যেভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে, ভয়ে আর ট্রেনে যাতায়াত করছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম রতন বলেন, এ স্টেশনের জন্য প্রতিদিন দেড় হাজার সিট বরাদ্দ থাকে। এখানে প্রতিটি ট্রেনে সারা বছর যাত্রী চাহিদা ব্যাপক থাকে। কিন্তু ইদানিং বরাদ্দের অর্ধেক টিকিটই অবিক্রীত থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
এসআই