ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে স্থবিরতা, আরও দুই-তিনদিন থাকবে কুয়াশা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে স্থবিরতা, আরও দুই-তিনদিন থাকবে কুয়াশা 

পঞ্চগড়: নতুন বছরের সঙ্গে সারা দেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। যার কমতি নেয় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে।

এ জেলা হিমালয়ের একেবারে কাছে হওয়ায় কয়েকগুণ হাড়ে অনুভূত হচ্ছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ। দৃষ্টিসীমার একেবারে কাছ থেকেও দেখা মিলছে না কোনো কিছুর।  

এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এরই মাঝে আবহাওয়া অফিস বলছে, আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণে ঠান্ডার পরিমাণ আরও বাড়বে। আরও ২-৩ দিন ঘন কুয়াশা থাকবে পঞ্চগড় জেলা জুড়ে। সঙ্গে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, দু-দিন ভোর থেকে সূর্য ঢাকা রয়েছে। হিমেল বাতাস বইছে। বিশেষ করে শীত বেশি লাগার কারণ হচ্ছে বায়ুর গতি বেগ। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতাও বেড়ে যায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।  
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সারা দেশের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে বাদলগাছিতে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলার পরিবেশ। কুয়াশার কারণে শহর ও গ্রামের সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে হিমশীতল শিশির। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। ভ্যান চালক, পাথর ও চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা।

প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। তবে বেলা বাড়লেও দু-দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। তবে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে কিছুটা কুয়াশার পরিমাণ কম লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্করা। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।