দীর্ঘ ১০ বছর পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এম এ মান্নান। এবারের মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি তিনি।
সে হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শেষ অফিস করেছেন সুনামগঞ্জের এই রাজনীতিবিদ। এসময় মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কুশলাদি বিনিময় করেন মন্ত্রী।
এদিন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
বিদায় বেলায় কোনো আক্ষেপ বা কষ্ট রয়ে গেছে কি না - সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, না কোনো কষ্ট নেই। আমি এনজয় করেছি।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। সংসদ সরকারের ওপরে। আমি দলের একজন কর্মী। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। দল যেখানে কাজে লাগাবে সেখানে কাজ করব।
নতুন পরিকল্পনামন্ত্রীকে যে কোনো বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি।
বিদায়ী পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানে নতুন যিনি আসবেন তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত নিলে উনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নন। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। এখানে কাজ উপভোগ করা যায়। সবকিছুই প্রাণবন্ত। তবে এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এখানেও নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রীই প্রধান।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে) একটা একাডেমিক পরিবেশ আছে। সব মিলে এই মন্ত্রণালয়ে প্রচুর কাজের পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত।
তিনি বলেন, দেশে সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টেলিভিশন বা পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে কী প্রকল্প পাস হয় এটা সবাই দেখতে চায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
এসএএইচ