নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় (৬০) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি তীব্র শীতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুজ্জামান রুমেল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সেখানে মৃত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি আব্দুলপুর রেল স্টেশনের প্লাটফরমে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার দিনগত রাতে চাদর পেঁচিয়ে প্লাটফর্মের মাঝামাঝি জায়গায় ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালের দিকে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে শরীরে মোড়ানো চাদর সরালে মৃত অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার লালপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনভর কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে বাতাস যুক্ত হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। রাতে তীব্র শীতের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে। পুলিশেরও একই ধারণা বলে জানা গেছে।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, শনিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস উপজেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। সারা দিন কুয়াশায় সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে খেটে খাওয়া মানুষসহ শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা আরও দুর্ভোগে পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
এসআরএস