ঢাকা: কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা গেছে রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়ার মতো উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আসে, সেখানে শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে। কিন্তু পার্থক্য যদি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে তবে শীতের অনুভূতি প্রকট থেকে প্রকটতর হয়। অর্থাৎ হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। বেশিরভাগ জেলাতেই সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়াতে শীতের অনুভূতি বাড়ছে এবং কোথাও কোথাও তা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
কনকনে শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রোববার রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই এলাকার অধিকাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ কাজকর্ম ছেড়ে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তার পাশে বসে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৬৫) তিনি বাংলা নিউজকে বলেন, আমি সিএনজি চালক শীতের কারণে গাড়ি চালাতে না পেরে বাসায় ফিরে আসছি, কারণ রাস্তায় যাত্রী নেই, অন্যদিকে রোজগার নেই, এমনকি বাসায় বাজারও নেই, কীভাবে দিন পার করব বুঝতে পারছি না।
ধামাল কোট এলাকার রিকশা চালক মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিনের শীতে রাস্তায় যেমন যাত্রী কম তেমনি আয়-রোজগারও কম। তাই গাড়ি চালাতে পারছি না। এখন নিজেরও চলতে কষ্ট হচ্ছে, গ্রামের বাড়িতে টাকা-পয়সা দিতে পারছি না। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চললে আমাদের মতো মানুষের না খেয়ে মরতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
জিএমএম/জেএইচ