ঢাকা: বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের নজরে রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বেশি আলোচিত সেটা হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। পণ্যের মূল্য বেশি, অথচ কিন্তু খাদ্যপণ্যের অভাব নেই। এ সময় পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, কারসাজি যারা করে তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, সামনে আমাদের রমজান মাস। আমাদের খাদ্যপণ্য আনে সীমিত কয়েকটি গ্রুপ। তারাও এখানে সব সময় একটা খেলা খেলতে চায়। সেই ক্ষেত্রে এখন থেকে আমাদের একটু প্রস্তুতি নিতে হবে। রমজান মাসে যে পণ্যগুলো আমাদের বেশি লাগে সেগুলোর মূল্য যেন ঠিক থাকে এবং সেগুলো যেন বাজারে পাওয়া যায়; সরবরাহ যেন ঠিক থাকে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পণ্যের দাম কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার, খাদ্য পণ্যের যখন দাম বাড়ে তখন কৃষক খুশি হয়। কিন্তু যারা ভোক্তা তারা দুঃখ পায়। তাদের ওপরে চাপ এসে পড়ে। এটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে, এটাকে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় এ বিষয়ে আমাদের খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের প্রবৃদ্ধি যেটা হবে মূল্যস্ফীতি তার চাইতে কম থাকতে হবে। তাহলেই তার সুফলটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পাবে।
তিনি আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতি আমরা কমিয়েছি, খাদ্য দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১২ শতাংশ উঠে গিয়েছিল, সেটাকে কমিয়ে নয় ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্য সব মিলিয়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু এটাকে আমাদের আরও কমাতে হবে।
নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
এমইউএম/এমজে