বরগুনা: বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসকের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করছেন নবজাতকের স্বজনেরা।
প্রসূতির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহরের হোটেল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল সোহাগের স্ত্রী লিপি আক্তার প্রসব ব্যথা নিয়ে শনিবার দুপুরে হাসপাতাল সড়কের দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। পরে সন্ধ্যায় ওই ক্লিনিকের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রুনা রহমান সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলেন।
নবজাতকের বাবা ইব্রাহিম খলিল সোহাগ বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনের এক ঘণ্টা পরে কন্যা শিশুটির গায়ে কাপড় পেঁচিয়ে আমার হাতে তুলে দেয়। পরে অনবরত কান্না করতে থাকায় শিশুটির শরীরে রক্ত দেখতে পাই। পরে গায়ের কাপড় খুলে ডানবাহুর নিচে ছুরির আঘাতে কেটে যাওয়ার ক্ষত দেখতে পাই। বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে ডা. রুনা রহমানের কাছে জিজ্ঞাসা করলে, আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই, মেরে ফেলেছি? বলেন? এইটুকু কাটলে কি মানুষ মারা যায়?
এ বিষয়ে বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী নবজাতকের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসএম