ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে: মুখপাত্র

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে: মুখপাত্র

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। এর সঙ্গে রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সেহেলী সাবরীন এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের আসন্ন ভারত সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কানেকটিভিটি, আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় থাকবে।  

তিনি বলেন,  তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশা করছি। তিস্তা নিয়ে চীনের প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ এজেন্ডাগুলো নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে। যদি ভারত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।

আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে যাবেন হাছান মাহমুদ। এটিই হবে তার জন্য প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক সফর।

বাংলাদেশ কি বিনা ফিতে ভারতকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, ভারত যাতে চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করতে পারে, সে জন্য ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল একটি স্থায়ী আদেশ জারি করে, যার ফলে ভারত এখন থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব শর্ত প্রয়োজ্য হয়, সেসব বিষয় বিবেচনা করেই এ চুক্তি করা হয়েছে।  

সেহেলী সাবরীন বলেন, রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এ সংঘাতে বাংলাদেশ বা আমাদের নাগরিকরা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তা বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। নতুন কোনো অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।