খুলনা: খুলনায় মাসব্যাপী একুশে বইমেলার পর্দা উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, বই ছাড়া জ্ঞান অর্জন করা যায় না। মানুষের নিত্য সঙ্গী হলো বই। বই সবসময় বন্ধুর মতো কাজ করে। বইপড়া ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। আর বইমেলা হচ্ছে বাঙালি প্রাণের মেলা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বইয়ের প্রতি সবাইকে আকৃষ্ট করতে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের গৌরব। দেশের যত আন্দোলন তার অনুপ্রেরণা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে। বেশি করে বই পড়াতে মেয়র সবার প্রতি আহ্বান জানান।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডের হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ারস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি’র শরীফ শাহ জামাল রাজ।
স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে খুলনা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর বক্তৃতা করেন। বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বই মেলায় প্রকাশনা সংস্থা, বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ১০০ স্টল রয়েছে। মাসব্যাপী বইমেলা সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা এবং অন্যান্য দিনগুলোতে বিকেল তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।
প্রতিদিন বিকেলে আলোচনা সভা, সেমিনার, প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
বইমেলা উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য থাকছে উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, সংগীত ও বইপাঠ প্রতিযোগিতা। এছাড়া বইমেলা উপলক্ষে সবার বইয়ের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়ে ক্রেতারা বই কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এমআরএম/জেএইচ