গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় সেচের অভাবে হুমকিতে পড়েছে ২শ’ বিঘা জমির বোরো ধান চাষ।
দুদিনের মধ্যে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে না পারলে মারা যাবে সদ্য রোপণ করা ধানের চারা।
বৃহস্পতিবার ( ১ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়া পাথারে দুটি ট্রান্সফরমারের ফেলা যাওয়া পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন ভুক্তভোগিরা।
এদিন দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃর্ণ গড়েয়া পাথারের জমিতে হালচাষ সম্পন্ন করেছেন কৃষকরা। চারা রোপণের জন্য এখন প্রয়োজন পানি। জমিতে পানি নিতে না পারায় দিকবিদিক ছোটাছুটি করছেন কৃষকেরা। কেউ বা জমিতে বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।
ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়া সেচপাম্প মালিক ওই ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান জানান, রাতে জমিতে পানি সেচ দিয়ে মেশিন ঘরেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে মেশিন চালু না হওয়ায় ভাবেন বিদ্যুৎ নাই। পরবর্তীতে ফাঁকা জমিতে পর পর দুটি ট্রন্সমিটারের পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কৃষকরা। তখন বুঝতে পারেন রাতের আঁধারে কে বা কারা ব্লেড দিয়ে মোটা রড কেটে সেচপাম্প মেশিনের ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে।
ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়া অপর সেচপাম্প মালিক গড়েয়া গ্রামের কাজেম উদ্দীন জানান, সেচপাম্প দুটি দিয়ে ২ শতাধিক জমিতে পানি সেচ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৫০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। ট্রান্সফরমার পুন:স্থাপন না করা পর্যন্ত চাষ বন্ধ থাকবে। এছাড়া দুই দিনের মধ্যে পানি সরবরাহ করতে না পারলে রোপিত চারাগুলো মারা যাবে।
গড়েয়া গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া ও রাজা মিয়া জানান, তাদের উভয়ের ৫ বিঘার অধিক জমি চুরি যাওয়া সেচপাম্পের আওতায় রয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট সকলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বোরো চাষবাদ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পানির সেচ চালুর চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের জমিতে পানি সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এসএএইচ