ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনিরাপদ খাদ্য তৈরিকারীদের বোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে: ফেরদৌস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
অনিরাপদ খাদ্য তৈরিকারীদের বোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে: ফেরদৌস ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অনিরাপদ খাদ্য তৈরিকারীদের বোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের র‍্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

র‍্যালিটি আয়োজন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, যারা অনিরাপদ খাদ্য তৈরি করছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনলেই যে সব সমাধান হয়ে যাবে তা নয়। তাদের বোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই খাবারটা তার পরিবারও খাচ্ছে। এই খাবারটা তার ছেলে-মেয়েও খাচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে গিয়ে এমন অনিরাপদ খাবার খাচ্ছে। আমরা যে যার অবস্থানে থেকে যদি নিজের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করি, তবেই আমরা আমরা স্মার্ট হয়ে উঠবো।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যাপারটা এমন নয় যে, একদিনে সব খাদ্য নিরাপদ হয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপদ হয়েছে। আমরা সোচ্চার হয়েছি, আমরা সচেতন করছি। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে যারা খাবার তৈরি করছে, যারা খাবার উৎপাদন করছে প্রত্যেকটি সেক্টরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যাচ্ছে। তাদের সচেতন করছে, কোনো ব্যত্যয় পেলে জরিমানা করছে। আমরা যারা পরিচিত মুখ, আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে প্রত্যেককে বোঝাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেককে প্রত্যেকের জায়গা থেকে জানতে হবে, যে আমি যে খাবারটা খাচ্ছি, যে রংটা ব্যবহার করছে, এটা শরীরের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, খাবারকে মজাদার করার জন্য, দেখতে সুন্দর করার জন্য রংসহ বিভিন্ন উপাদন ব্যবহার করা হয়। যেগুলো ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। আবার একই তেল বারবার পোড়াতে পোড়াতে সেটির গুণগত নষ্ট হয়ে যায়। সেই তেল যখন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে সেটি আর নিরাপদ থাকে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা জনসচেতনতা তৈরি করতে চাচ্ছি। আমরা অনেক জেলায় জেলায় গিয়েছি। সামনে রমজান আসছে। রমজানে দেখা যায় যে, সারাদিন রোজা রেখে মানুষ ভাজাপোড়া বেশি খায় যেটি একেবারেই নিরাপদ নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে খাবার তৈরি করা প্রয়োজন। উৎপাদনের পর থেকে মানুষের খাওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটি জায়গাতে আমাদের দৃষ্টিপাত থাকতে হবে।

জনগণের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ফেরদৌস বলেন, সবাই সবার জায়গা থেকে কাজ করলে আমরা নিরাপদ খাদ্য পাবো। চলুন আমরা নিজ দায়িত্বটুকু পালন করি। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা না করি।

এ সময় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, গবেষণা কর্মকর্তা মো. তাইফ আলী, বিডি ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের প্রধান সমন্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, ধানমন্ডি ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের সভাপতি মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে মৎস্যভবন ও শাহবাগ হয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সাধারণ র‍্যালির পাশাপাশি সাইকেল র‍্যালির আয়োজন করে বিএফএসএ। এতে সহযোগিতা করে বিডি টুরিস্ট সাইক্লিস্ট নামের একটি সংগঠন। প্রায় ১০০ জন সাইক্লিস্ট এই র‍্যালিতে অংশ নেয়। তারা র‍্যালির পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেলের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা প্রচার করবে।

২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদ্‌যাপন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
এসসি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।