মেহেরপুর: জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে আমরা সমৃদ্ধশালী উন্নয়নশীল দেশে অবস্থান করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখন লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক।
এসময় আওয়ামী মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, সদস্য গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে সরকারি কর্মকর্তাদের নিবীড় ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিটি অফিসের কার্যক্রম একটি সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে সবাইকে। বেশি বেশি কাজ ও মানুষকে বেশি বেশি সেবা দিতে হবে কর্মকর্তাদের।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে নিবিড়ভাবে দায়িত্ব পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সরকারি অফিস ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি। সবাই স্ব-স্ব জায়গায় নিবিড়ভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ।
মন্ত্রী ফরহাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর, একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা ষড়যন্ত্র করে দেশকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসিকতায় ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাঠামো আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে চেয়েছিল। দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের কারণে বঙ্গবন্ধুর জীবন গেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে আছে। আজ আবার তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মননে ও নেতৃত্বেই দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে।
তিনি বলেন, আমাদের ভালো রাখার জন্য আমাদের পিতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। তারা জীবন দিয়েছেন যাতে একটি উন্নত দেশে আমাদের সন্তানের মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে প্রধান কাজ হচ্ছে দেশকে এগিয়ে নেওয়া।
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি দপ্তরের প্রতিটি বিভাগের এপিআই আছে। আমরা যথাযথভাবে এপিআই মূল্যায়ন করছি। এপিআই মূল্যায়নে মেহেরপুর জেলার সব সরকারি কার্যালয় সবার সেরা হবে বলে আমি আশা করি।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। দেশ, দেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমার সব কাজ। তাই আমি যে কাজটি করি সেটি শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে নিবিড়ভাবে করার চেষ্টা করি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হকসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪
আরএ