ঢাকা: চকবাজারের ইমামগঞ্জে এলাকায় অবৈধ পলিথিন ব্যবসা করেন আমিনুল হক মুরাদ। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তিনি এলাকাবাসীকে নির্যাতন করেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, মুরাদ নিজের অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন লাঞ্ছনা-নির্যাতন। এ থেকে নিস্তার পেতে মানববন্ধন করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চকবাজারস্থ ইমামগঞ্জবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধনটি আয়োজিত হয়। মুরাদকে গুণ্ডা আখ্যা দিয়ে তার গ্রেপ্তারের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
ইমামগঞ্জের বাসিন্দারা বলেন, আমিনুল হক মুরাদ এলাকার আতঙ্ক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার আড়ালে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ অবৈধ পলিথিনের কারবার করে আসছেন। ব্যবসাকে পাকাপোক্ত করতে তিনি গুণ্ডা বাহিনী লালন করেন। মানুষকে বাধ্য করতে হাতিয়ার হিসেবে লাঞ্ছনা-অত্যাচার-নির্যাতনকে বেছে নিয়েছেন।
‘মুরাদ এলাকার মানুষকে সন্দেহের চোখে দেখে’ অভিযোগ করে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলেন, দেশের কোথাও অবৈধ পলিথিনের গাড়ি আটক হলে মুরাদ সন্দেহ অনুযায়ী তার লোকজন দিয়ে স্থানীয়দের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন। লাঞ্ছনার পর মামলাও করেন। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
আমিনুল হক মুরাদের মালিকানাধীন মধুপুর ও নিউ রহমানীয়া ট্রান্সপোর্টের বিরুদ্ধে সারা দেশে পরিবেশ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ইমামগঞ্জবাসীর বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মুরাদের নির্যাতনের শিকার সোহেল নামে এক যুবক। তিনি স্থানীয় ভাড়াটিয়া। সোহেল বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া একটার দিকে মিটফোর্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আমার সন্তানকে দেখে বাসায় ফিরছিলাম। চকবাজারের বিসমিল্লাহ টাওয়ারের সামনে যেতেই মুরাদের লোকজন আমাকে ধরে নিয়ে যায়। তারা আমাকে ‘পুলিশের ফর্মা’ বিবেচনা করে গালাগাল করে। হকিস্টিক ও কোদালের হাতল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তারাই আবার মিটফোর্ড হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা কাগজপত্র তারা রেখে দেয়। আর একথা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নেই।
তিনি বলেন, আমাকে মারধরের ঘটনায় আমার স্ত্রী লাকি আক্তার চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে মুরাদ পলাতক। তিনি মুরাদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমিনুল হক মুরাদের মোবাইল নম্বরে বহুবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী সোহেলের স্ত্রী লাকি আক্তার, স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে রহমান হাজী, আব্দুর রহিম, শেফালী বেগম, শরীফা বেগমসহ অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
ইএসএস/এমজে