ভোলা: ভোলায় বেড়েছে শিশুদের নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। এতে রোগীদের চাপ বেড়েছে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১৩৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। যাদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ছিল ৯৮ জন।
এদিকে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। যে কারণে একটি বেডে গাদাগাদি করে ২/৩ জন রোগীকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের গিয়ে দেখা গেছে, রোগীদের ভয়াবহ চাপ। তবে ৬৫ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৩৮ জন। যার ফলে এক শয্যায় একাধিক রোগীর পাশাপাশি অনেকেই মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সালাউদ্দিন বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেশি। আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রোগীর সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তাই অভিভাবকদের আরও বেশি যত্নবান হতে হবে। তাদের যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানিয়েছে, জেলায় সাত উপজেলার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এক সপ্তাহে যার সংখ্যা দাড়িয়েছে, ২৫২ জনে। এক মাসে সর্বমোট নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে ৮১৮ জন। যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুটি শিশুর।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হচ্ছে তবে রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। শনিবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী এক সপ্তা ধরে এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর ঘর কুয়াশা হতে পারে। ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এসএম