গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সেচ ব্যবসার স্বার্থে করতোয়া নদী রক্ষা বাঁধ কেটে ড্রেন তৈরির অভিযোগ উঠেছে হারুন-অর-রশিদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ফলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বুজরুক টেংরা গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন-অর-রশিদ ২০১৭ সাল থেকে একটি সেচ পাম্প চালিয়ে আসছেন।
এ বছর বাঁধের অপর পাশের জমিগুলো তার নিজের পাম্পের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য বাঁধটির অন্তত ৫শ ফুট জায়গা কেটে ড্রেন তৈরি করে পাইপ বসিয়ে পানি সরবরাহ করছেন।
ফলে আসছে বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ধসে উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের বুজরুক টেংরা খোর্দটেংরা, গনেশপুর, বেড়াডাঙ্গা নয়নপুর, গোপালপুর, হোসেনপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর, শিশুদহ, শালমারা, করিআটা, রামচন্দ্রপুরসহ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি নদী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
বুজরুক টেংরা গ্রামের বেনজির মিয়া, লিটন মিয়া ও এনামুল মিয়া জানান, হারুন-অর-রশিদকে বাঁধ কেটে ড্রেন তৈরি করতে নিষেধ করা হলেও তিনি কারো কথা শোনেননি। কেউ বাধা দিতে গেলে হারুন ও তার লোকজন গালিগালাজসহ নানা হুমকি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হারুন-অর-রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁধ কাটা হয়েছে আবার ভরাট করে দেওয়া হবে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন জানান, শোনার পর আমি সকালে গিয়েছিলাম বাঁধ কাটতে নিষেধ করেছি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
আরএ