লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. কামরুল ইসলামকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব-১১ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এএসপি মো. গোলাম মোর্শেদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর চাটখিল থানাধীন পূর্ব দেলিয়াইয়ে আসামি কামরুলের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ওই এলাকার মকবুল আহমদ ভূঁইয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নোয়াখালীর চাটখিল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, মামলার ভিকটিম মৃত মামুনুর রশিদ লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে ভিকটিমের সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালের ১৮ মে ভিকটিম মামুনুর নোয়াখালী চাটখিল থানাধীন দেলিয়াই বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমানিয়া গ্রামে পৌঁছালে আসামি কামরুল ও মামলার অপর আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে গুলি করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মো. ফখরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি কামরুলের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন। র্যাব দণ্ডিত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার কামরুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
আদালত সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ হত্যা মামলার রায়ে গত ২৬ জুলাই আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ মামলায় খালাস দেওয়া হয়েছে দুজনকে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসআরএস