ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেতু নিমার্ণকাজে যুবলীগের বাধা, শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
সেতু নিমার্ণকাজে যুবলীগের বাধা, শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ

ময়মনসিংহ: জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী-শাহীদপুর সংযোগ খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর ঢালাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা কর্মরত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

   

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্মাণাধীন সেতু ঢালাই কাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আহম্মেদ সজল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ঢালাই কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ একদল যুবক এসে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে ‘কাজ বন্ধ কর’ বলেই মারধর শুরু করে। এ সময় তারা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিলে আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে এসে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।  

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এলজিইউডির অধীনে ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দে সোহাগী-শাহীদপুর সংযোগ খালের ওপর ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের কাজ করছিলাম। গতকাল ওই কাজের ঢালাই চলছিল। এতে উপজেলা প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা সুজনের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী এসে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে। এ সময় তারা বলে যে- উপজেলা যুবলীগ সভাপতির সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করবি, না হলে কাজ বন্ধ থাকবে।  

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সুজন জানান, তার নাম জুলহাস উদ্দিন সুজন। তিনি নিজেকে সোহাগী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক বলে পরিচয় দেন।    

এ সময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাজের মান ভালো হচ্ছে না সে কারণে এলাকার মানুষ আমার কাছে গিয়েছিল। তাই আমি কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা কাজ বন্ধ না করায় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেছি। এ সময় এলাকার শত শত লোক তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তবে তাদের কেউ মারধর করেনি।

জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, ফেসবুক লাইভে ঘটনাটি জেনেছি। আমার মনে হচ্ছে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।  

একই ধরনের মন্তব্য করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যার ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।