ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সয়াবিন ক্ষেতে যুবকের মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় স্ত্রী-শ্বশুরসহ গ্রেপ্তার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
সয়াবিন ক্ষেতে যুবকের মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় স্ত্রী-শ্বশুরসহ গ্রেপ্তার ৫

লক্ষ্মীপুর: জেলার কমলনগরে শ্বশুরবাড়ির পাশের সয়াবিন ক্ষেত থেকে মো. আবুল কাশেম (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এএসপি মো. গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ভিকটিম কাশেমের শ্বশুর আলী আক্কাস (৫৫), শ্যালক মো. জহির উদ্দিন (২৮), জেঠস আকলিমা বেগম (২৫), স্ত্রী তাছলিমা বেগম (২২) ও শ্যালিকা তাহমিনা আক্তার (২০)। তারা সবাই কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের নিজ এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তাররা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

ভিকটিম আবুল কাশেম কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির আবু সায়েদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। তাছলিমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

র‍্যাব জানায়, এটি একটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড। হত্যা মামলার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহজনক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম আবুল কাশেম গত দুই-তিন মাস আগে কমলনগরের হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী আক্কাসের মেয়ে তাছলিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশেম তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে তিনি নিজ বাড়ি চরকাদিরা ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর রাতে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরদিন (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে কাশেমের মরদেহ পাওয়া যায়।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে ভিকটিমের বাবা আবু ছায়েদ মোল্লা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর একটি দল ওই ক্লু-লেস হত্যা মামলার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ধরতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় মামলার সন্দেহজনক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়। তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে তারা জাড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা এখনও তদন্তাধীন, তাই এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন>> শ্বশুরবাড়ির পাশে সয়াবিন ক্ষেতে পড়েছিল যুবকের মরদেহ

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।