ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারী ও তার শিশুসন্তানের পরিচয় জানা গেছে। ওই নারী নগরের বাদেকল্পা এলাকার রাজমিস্ত্রি মো. মুস্তাকিনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২২)।

তার শিশু সন্তান দুই বছর বয়সী রাইসা আক্তার।  

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহতদের স্বজনরা তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি লোকাল ট্রেন কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছাতেই তানিয়া তার সন্তানসহ ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।  

দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোরকা পড়া ওই নারী তার শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ট্রেন কাছাকাছি আসতেই ওই নারী রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় দুইজনের দেহ।  

ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর পরিচয় মিললে সন্ধ্যায় নিহতের স্বজনরা ভিড় করেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায়। এ সময় স্ত্রী তানিয়া ও দুই বছরের মেয়ে রাইসাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বামী মুস্তাকিন।  

মুস্তাকিনের দাবি, তানিয়া দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগেও কয়েকবার তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। রোববার সকালে কাজে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যুর খবর পান।  

মুস্তাকিনের ভাই আল আমিন বলেন, সকালে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তানিয়া। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে রেলওয়ে থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।