রংপুরে দরিদ্র পরিবারের ১৫ জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে নগরের শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়ামে এ বিয়ের আয়োজন করে ঢাকাস্থ আল-খায়ের ফাউন্ডেশন।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নব দম্পতিদের নগদ অর্থ, ভ্যান, সেলাই মেশিনসহ সংসারের নানা উপকরণও উপহার দেওয়া হয়।
এমন বর্ণিল আয়োজনে বিয়ের করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিলেন নব-দম্পতিরা। রংপুরে প্রথমবারের মতো জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে যৌতুকবিহীন এমন বিয়ের আয়োজন করায় খুশি স্থানীয় প্রশাসনও।
রাজকীয়ভাবে সাজানো মঞ্চে এক সারিতে পাঞ্জাবি, পায়জামা, জুতা, পাগড়ি পড়ে দাঁড়িয়েছিলেন ১৫ জন বর। তাদের সামনের সারিতে বিয়ের সাজে বসেছিলেন ১৫ জন কনে। সবারই মুখে হাসি। মঞ্চের সামনে বসে ছিলেন ৩০ পরিবারের সদস্যরা।
পাগলাপীর কিশামত হরকলি গ্রামের বাসিন্দা বর মারজান মিয়া বলেন, ডিমান্ড ছাড়া বিয়া করবার পারছি। অ্যালা (এখণ) বুক উঁচা করি চলবার পামো। কাইয়ো কিছু কবার পাবার নয়। এমন করি বিয়া হইলে যৌতুক সমাজ থ্যাকি উঠি যাইব। যৌতুকের জন্তে কোনো মেয়ে নির্যাতন হবার ন্যায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যৌতুক নেওয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে বেআইনি কাজ। তবে সমাজে ব্যাধি হয়ে এটি এখনো রয়েছে। আল-খায়ের ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে, আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। যেহেতু যৌতুক বেআইনি কাজ, এটি বন্ধ করা পুলিশের কাজ।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুল হাসান রুমি, বিসিবির পরিচালক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, কলেজের শিক্ষক আজহারুল ইসলাম দুলাল, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের শিক্ষক আজহারুল ইসলাম দুলাল, অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মেরিনা লাভলীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৪
এসআই