দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার অঙ্গীকার নিয়ে ১৫ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। পত্রিকার বর্ষপূর্তি আগামী ১৫ মার্চ।
১৫ বছরে পদার্পণে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সবচেয়ে বড় কথা একটি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ প্রতিদিন সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোন সংবাদপত্রের প্রকৃত সার্কুলেশন কত সেটা বের করেছেন। তিনি বলেন, আসল সার্কুলেশনেও এক নম্বরে আছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এটা বিশাল প্রাপ্তি। যে কোনো অর্জনের চেয়ে অর্জনটা ধরে রাখা আরও কষ্টসাধ্য। বাংলাদেশ প্রতিদিন সেটা পেরেছে। এজন্য বসুন্ধরা পরিবার ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারকে অভিনন্দন। আগামী দিনে বাংলাদেশ প্রতিদিন আরও ভালো করুক, সাংবাদিকতার জগতে একটা উদাহরণ হিসেবে নিজেকে তৈরি করুক এই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ, দেশের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্র আর অর্থনীতি বিকাশে আমাদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কীভাবে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি সেই চেষ্টা সব দল মিলে করা চাই। সত্যিকার অর্থে আগামীটা ইতিবাচকভাবে শুরু করতে চাই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আছে। এ ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা হলে কেউ বাঁচবে না। সেই জায়গা থেকে দেশ এবং দেশের স্বার্থকে সবার আগে আমাদের দেখতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ডলার সংকটসহ নানা কারণে মিডিয়ার জন্য বাংলাদেশে কঠিন সময় যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু আরেকটু গুছিয়ে আনতে। এ মুহূর্তে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে সরকার কিছুটা শুল্কছাড় দিলে সংবাদপত্রগুলো হয়তো টিকে থাকতে পারবে। নতুন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমের মানুষ। তিনি নিশ্চয়ই বিষয়টা বিবেচনা করবেন। আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সাদাকে সাদা বলে, কালোকে কালো বলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে। গণমানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সব কলাকুশলী ও শুভানুধ্যায়ীর জন্য শুভকামনা।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৫ বছরে পদার্পণ করছে, এর পেছনে যারা কাজ করেছেন তাঁদের বিশেষ করে বসুন্ধরা গ্রুপ ও পত্রিকার সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই। ওয়ান-ইলেভেনের পর পত্রিকায় তাঁর লেখালেখি প্রসঙ্গে বলেন, কচু কাটতে কাটতে মানুষ যেমন ডাকাত হয়, তেমনি আমি একটু একটু করে লিখতে লিখতে অনেক লিখে ফেলেছি। আমার লেখার পেছনে উৎসাহ দিয়েছেন নঈম নিজাম, আর লিখেছি একমাত্র পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনে।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, তিনি কখনো বাংলাদেশ প্রতিদিনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আসাটা মিস করেন না। কারণ তিনি নিজেকে এ পরিবারের সদস্য ভেবে গর্ববোধ করেন। স্কুলে থাকতে ইত্তেফাক না পড়লে ভালো লাগত না। এখন ঘুম থেকে উঠে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা খোঁজেন। এ পত্রিকাটি একমাত্র পত্রিকা যেটা সকল শ্রেণির মানুষ পড়ে। তাঁর বিশ্বাস, আগামীতেও বাংলাদেশ প্রতিদিন তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে।
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাঁর প্রত্যাশা জনপ্রিয় এ দৈনিক আজকের মতো ভবিষ্যতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে থাকবে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের যে ভূমিকা তাতে করে সামনের দিনগুলোতেও পত্রিকাটি প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে থাকবে।
সম্পাদক নঈম নিজাম পত্রিকার সব পাঠক, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের কাগজ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৪ বছর আগে এ পত্রিকার যাত্রা শুরু। এখন সপ্তাহে এক দিন লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকেও প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। বসুন্ধরা গ্রুপের উৎসাহ ও সহযোগিতায় পত্রিকার সব স্তরের কর্মীর আন্তরিক প্রচেষ্টা, হকারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পাঠকদের ভালোবাসায় বাংলাদেশ প্রতিদিন আজ দেশের শীর্ষ সংবাদপত্র। দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
এফআর