নোয়াখালী: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ -এর ২৩ জন বাংলাদেশির মধ্যে দুইজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
তারা হলেন - এবিল সি-ম্যান (নাবিক) হিসেবে মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজু (২৭) ও ফাইটার হিসেবে মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ।
এরমধ্যে মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
অপরজন ফাইটার মোহাম্মদ সালেহ আহমেদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, সালেহ আহমেদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
এদিকে, নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর গ্রামের বাড়িতে খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শুরু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজুর পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছেন।
নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছে আমার ছেলে। গত বছর জুলাই মাসে সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। সর্বশেষ চার মাস আগে সে পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেয়। আমার ছেলেসহ সব নাবিককে নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় ভুগছি। কারণ জলদস্যুরা নাকি বলেছে একে একে সবাইকে মেরে ফেলা হবে। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার ছেলেসহ সব নাবিককে জীবিত উদ্ধার করুক।
জানা গেছে, সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ কবির স্টিলসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। মাত্র ১৫ মিনিটেই ‘এমভি আবদুল্লাহ’নামক জাহাজের দখল নেয় জলদস্যুরা। এতে থাকা ২৩ নাবিককে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেছে তারা।
সবশেষ জানা গেছে, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রেখেছে জলদস্যুরা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগ। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে নাবিকদের কাছে থাকা ডলার। ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরের সোমালিয়া উপকূলের দিকে জাহাজটি নিয়ে যাচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
এসএএইচ