নোয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ওমান প্রবাসী স্বামী ইলিয়াছ হোসেনকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইলিয়াছ উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়ির মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। তিনি দুই সন্তানের বাবা।
আটক স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সোনিয়া (২৫) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাঠানগড় গ্রামের ইভু ভেন্ডার বাড়ির আহসান উল্যার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওমান থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন ইলিয়াছ। ছুটি শেষে রোজার ঈদের পরে পুনরায় তার ওমান চলে যাওয়ার কথা ছিল। সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনিয়ার সঙ্গে ইলিয়াছের বিয়ে হয়। বউয়ের কারণে সে ভাইদের সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতে পারতেন না।
শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে তিনি বড় ভাই আব্দুল মতিনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরেন। এ নিয়ে ঘরে ঢুকলে বউয়ের সঙ্গে প্রথমে ইলিয়াছের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্ত্রী সোনিয়া স্বামীর অণ্ডকোষ ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ সোনিয়াকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
চাটিখল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী সোনিয়া তার স্বামীকে অণ্ডকোষ চেপে ধরলে সে মারা যান। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছে। শনিবার সকালে ওই মামলায় আটক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
এসএম