গাজীপুর: দীর্ঘ ১২ বছরের দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে খুব শিগগিরই। র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।
আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলসহ বৃহত্তর ময়মনসিংগামী যানবাহন ও যাত্রীদের ১২ বছরের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ শেষ হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০২৩-২৪ অনুযায়ী এয়ারপোর্ট-গাজীপুর রুটে বাস র্যাপিট ট্রানজিট (বিআরটি) ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক গণশুনানিতে এসব তথ্য জানান তারা।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) একেএম শামীম আক্তার।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন- বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিআরটির প্রকল্প পরিচালক মো. ইলিয়াস শাহ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান, মুকুল কুমার মল্লিক, বর্তমান সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ সরকার, মো. আমিনুল ইসলাম ও শরীফ আহমদ শামীম প্রমুখ।
গণশুনানিতে জানানো হয়, গাজীপুর শহরের শিববাড়ি থেকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ বাসে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৪ মিনিট। কোম্পানির নিজস্ব ১৩৭টি নতুন ডিজেল চালিত এসি বাস এই রুটে চলাচল করবে।
প্রকল্পে রয়েছে, শিববাড়ি ও বিমানবন্দরে দুটি বাস টার্মিনাল, আটটি ফ্লাইওভার, ২৫টি বাস স্টপেজ, ১৫টি ফুটওভার ব্রিজ, ৩২ কিলোমিটার ফুটপাত, উভয় পাশে ৫৫ কিলোমিটার ড্রেন। বাস চলাচলের সময় কোথাও জট থাকবে না এবং যথারীতি ৪৪ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছার নিশ্চয়তা থাকবে।
গণশুনানিতে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন সাংবাদিক প্রকল্পের ধীরগতি ও দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রকল্পের কয়েকবার ব্যয়-বৃদ্ধির সমালোচনা করে জনদুর্ভোগের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রকল্প সমাপ্তির শেষ পর্যায়ে এসে গণশুনানি না করে শুরুতে করলে ত্রুটি এড়ানো সম্ভব হতো বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪।
আরএস/আরএইচ