নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, হকাররা একটি দাবি তুলেছিলেন। তারা চাঁদ রাত পর্যন্ত একটানা বসতে চান হলিডে মার্কেটে।
শনিবার (৩০ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হকার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, হকাররা আমাকে দুই হাজার হকারের একটা লিস্ট দিয়েছেন। সেখানে পাঁচশ হকার আছেন যারা নারায়ণগঞ্জের না। আমিও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী থেকে এখানে এসেছি। তাদের পুঁজির টাকাটা ওঠানোর জন্য আপাতত মালামালটা তো বিক্রি করতে হবে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবার সঙ্গে আলোচনা করে যে সলিমুল্লাহ সড়কে হকাররা বসুক। কিন্তু আমরা জায়গা দিতে পারছি না।
কাউকে বাধা দিলে অল্টারনেটিভ দিতে হয়। এটার কোনো আইন নেই। এটা বিবেকের ব্যাপার। আমি এখন নদীর জায়গা দখল করব সেটা ভাঙবে না তা তো হয় না। তেমনি ফুটপাত দখল করবে তাদের সরানো হবে না এটাও হবে না। এর আগে তাদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল হকার্স মার্কেটে। তারা সে দোকান বিক্রি করে রাস্তায় এসে বসেছেন।
তিনি বলেন, হকাররা নানা সময় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। তারা নাম দেয় হকার লীগ, হকার সংগ্রাম পরিষদ। গার্মেন্টস নেতাদের নিয়ে আজেবাজে কথা বলে শহীদ মিনারে মিটিং করে। তবুও তাদের বলেছি তোমরা তোমাদের টাকাটা তুলে ফেল এখানে বসো।
আমি জেলা প্রশাসক, এসপি ও মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। এ জায়গাটায় পাঁচ তারিখ থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত আবার পহেলা বৈশাখও রয়েছে। এ সময়টা আমরা ব্যবস্থা করে দিতে পারি কীনা তা দেখছি। তবে এ সময় অন্য কোথাও যেন হকাররা না বসে। আমি জানি হলিডে মার্কেট শেষ হলে তারা বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। একজনের জন্য তো লাখ লাখ মানুষের অসুবিধা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি পাঁচ তারিখ থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত হকাররা সলিমুল্লাহ রোডে বসবে। এর বাইরে কোথাও যেন হকার না বসে সে ব্যাপারে প্রশাসন সহায়তা করবেন। পাশাপাশি আমরা নিজেদের একটা ফান্ড দেই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য। এবার আমাদের সম্পূর্ণ ফান্ড সেখানে চলে গেছে। এ সদর এলাকার মার্কেটে, হয় আনসার নয়ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে শহরে টহলের ব্যাবস্থা যেন করা হয়।
মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে বাজার করতে। কিন্তু মানুষ সচেতন হয়ে গেছে। গত ঈদে যেখানে চারটা মুরগি কিনত তো তাহলে এখন একটা কিনছে। মানুষ সরকারকে সমর্থন করছে।
আমাদের গ্যাসের সংকট ছিল। এ সংকট কমলে আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আজ যে বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তা নয়, সারা বিশ্বে দাম বেড়েছে।
মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থাটা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এককভাবে নারায়ণগঞ্জ থানার ওপর দায়িত্ব পড়ে গেছে। আমি মনে করি এটা সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের আরও দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তাদের দায়িত্ব আরও বেশি। আমাদের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪
এমআরপি/জেএইচ