ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বস্তা পরিবর্তন করে সরকারি চাল বিক্রি, গ্রেপ্তার ১০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
বস্তা পরিবর্তন করে সরকারি চাল বিক্রি, গ্রেপ্তার ১০

ঢাকা: বস্তা পরিবর্তন করে অন্য মোড়কে সরকারি চাল বাজারজাত করা চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

রোববার (৩১ মার্চ) বাড্ডা থানাধীন মেরুল কাঁচাবাজার সংলগ্ন ইখতিয়ারের সেমি পাকা ঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৯ হাজার কেজি সরকারি চাল জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সংযুক্ত বস্তা থেকে খুলে নুরজাহান ব্রান্ড  নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভরা হচ্ছিল। এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ১০ জনকে আটক করা হয়।

আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে বস্তা পরিবর্তন করে অন্য লোগো লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নাদিম মাহমুদ জানতে পারেন, ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে ব্যক্তি মালিকানাধীন লোগো যুক্ত বস্তা ভর্তি করে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত বস্তাগুলো খুলে সেখানে থাকা চাল নুরজাহান ব্রান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে বাজারজাতের প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এ সময় ১৮ হাজার ৯৮০ কেজি সরকারি চাল জব্দ করা হয়। তার মধ্যে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো যুক্ত ৩০ কেজি ওজনের বস্তা ছিল ৯৬টি। আর সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে নুরজাহান ব্রান্ডের ৫০ কেজি ওজনের ৩০৬টি চালের বস্তা পাওয়া যায়। এছাড়া ঘরের মেঝেতে খোলা অবস্থায় প্রায় ৮০০ কেজি চাল ছিল।

এসব ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং তাতে হোতা আমিনুল ইসলামের ম্যানেজারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৪
পিএম/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।