মানিকগঞ্জ: নাড়ির টানে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১ টি জেলার ঘরমুখো মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করতে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় ছুটে আসছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে কাটাগাড়ির যাত্রীদের চাপ বাড়ছে তবে নেই কোনো ভোগান্তি।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টার দিকে পাটুরিয়া লঞ্চ টার্মিনালে কাটাগাড়ির যাত্রীদের বাড়তি চাপের দৃশ্য দেখা যায়। ভোর থেকেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটে আসছেন পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টে। ঘাটে দূরপাল্লার যানবাহন কম থাকলেও ফেরিতে এখন যাত্রীরা নৌপথ পার হচ্ছেন। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ২২টি ফেরিতে যানবাহন এবং ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী লাভলু মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভার থেকে রওনা হয়েছি, মহাসড়কে কোনো যানজট নেই, ভোগান্তি ছাড়াই পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি। অন্য সময়ের চেয়ে এখন গাড়ি ভাড়াটা একটু বেশি, এবারের ঈদ যাত্রায় মনে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়।
ফরিদপুরগামী আবুল নামের আরো এক যাত্রী বলেন, ভালো লাগছে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করতে যাচ্ছি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। সকাল বেলায় রওনা হয়েছি তবে গাড়ি ভাড়া বেশি নিচ্ছে, সেই বিষয়ে দেখার কেউ নেই।
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী বলেন, আজ ভোর থেকেই লঞ্চ টার্মিনালে কাটাগাড়ির বাড়তি চাপ পড়েছে তবে কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রীরা ঘাটে এসেই টিকিট কেটে সরাসরি লঞ্চে উঠে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম আব্দুস সালাম বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে তেমন কোন দূরপাল্লার যানবাহন নেই, ঘাট এলাকায় যানবাহন আসা মাত্রই ফেরিতে উঠতে পারছে। নৌপথ পারাপারে পর্যন্ত দূরপাল্লার যানবাহন না থাকায় ফেরিতে কাটাগাড়ির যাত্রীরা এখন নৌপথ পার হচ্ছেন। আমাদের এ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৪
জেএইচ