নওগাঁ: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে পরিবার ও স্বজনদের মুখে হাসি ফুটেছে। যেন আবারও নতুন করে ঈদের খুশি বইছে।
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, একমাস রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নওগাঁর সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা ও স্ত্রী।
তার মুক্তির খবরে পরিবারে ফিরেছে স্বস্তি। এখন তাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন তার বাবা-মা, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। নিরাশা কাটিয়ে পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির আমেজ।
সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সোমালি জলদস্যুদের হাতে সাইদুজ্জামান সাঈদ আটকের খবরের পর থেকে দিনগুলো যেন বিভীষিকাময় কেটেছে। এর মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর চলে এলেও ঈদের খুশি ছিল না পরিবারে। ছেলের মুক্তির খবর শোনার পর আমাদের পরিবারে স্বস্তি এসেছে। আমাদের বুকের ওপর পাথর চাপ ছিল, সেটি নেমে গেছে। এই খবর শোনার পর ঈদের যে আনন্দ আমরা নতুন করে উপভোগ করছি।
সাইদুজ্জামান সাঈদের স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমাদের ফোনে জানানো হয় মুক্তির খবরটি। পরে সকালে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জলদস্যুরা তাদের মুক্ত করে দিয়েছে এবং তারা চলে গেছেন। এখন ধীরে ধীরে সোমালিয়া উপকূল পার হয়ে দুবাইয়ের দিকে যাওয়া হবে। ২২ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় লাগবে তাদের আসতে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একমাস খুবই ভয়াবহ হতাশার মধ্যে কেটেছে। আসলে বাইরে থেকে এটা কেউ বুঝবে না। তাদের মুক্তির খবর শোনার পর খুবই ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। এখন সুস্থভাবে যত দ্রুত বাড়ি ফিরবে আমরা ততই স্বস্তি পাবো।
আটক নাবিকদের পরিবারের কাছে ফিরে দেওয়ায় কোম্পানি ও সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। নওগাঁ শাহী মসজিদ ফিশারি গেট এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে সাইদুজ্জামান সাঈদ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
এসএম