ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তীব্র গরমে বেশি ভোগান্তিতে শ্রমজীবীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
তীব্র গরমে বেশি ভোগান্তিতে শ্রমজীবীরা ফাইল ছবি

ঢাকা: আবহাওয়া বার্তায় নেই সুখবর। তাপদাহ চলছে তো চলছেই।

তাপমাত্রা পৌঁছে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তীব্র গরমে কারো যাচ্ছে ঠোঁট শুকিয়ে, তো কারো আবার হাত-মুখে জ্বলে যাওয়ার উপক্রম। এ তাপদাহের কারণে রাজধানীতে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। রাজধানীতে যদিও সেটা অনুভূত হচ্ছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। কয়েকদিনে দেশে গরমের তীব্রতা কমার আভাস নেই। আর তাপদাহে বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। বাতাসে আগের তুলনায় জলীয়বাষ্প কমে যাওয়ায় এ গরমে মানুষের হাত-মুখ শীতের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, কারওয়ান বাজার ও পান্থপথ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র গরমে অল্প কাজ বা হাঁটাচলা করে হাঁপিয়ে উঠছে অনেকে। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সুযোগ পেলেই ছায়ায় গিয়ে জিরিয়ে নিচ্ছে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। কায়িক পরিশ্রম করে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে। কিন্তু উপায় না থাকায় পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়া মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে দ্রুত।

পান্থপথ এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ রিকশাচালক মো. আলীম বলেন, সারা রাত ঘুমানো যায় না গরমের জন্য। আর দিনে গাড়ি (রিকশা) নিয়ে বের হলেও রোদের তাপে বাঁচা যাচ্ছে না। কী আর করার? পেটের জ্বালায় কষ্ট করতে হচ্ছে।

বাড্ডা এলাকায় নির্মাণশ্রমিক হাশেম আলী বলেন, রোদের তাপে পুড়ে পাইলিংয়ের কাজ করতে হচ্ছে। দুপুরের দিকে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কবে একটু বৃষ্টি হবে আল্লাহ জানে।

বাইরে বের হলেই সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে একাকার হতে হচ্ছে। কথা বলে জানা গেছে, তীব্র খরতাপে হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষ ও শিশুরা। বাড়ছে কষ্ট ও দুর্ভোগ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
এইচএমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।