ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। মাঝারি থেকে তীব্র এ তাপপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে হাঁসফাঁস অবস্থা।
বৈশাখের এ তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিন কাটছে শ্রমজীবীদের। রোদের তেজ থেকে বাঁচতে বিত্তবানদের অনেকে ঘরে বসে থাকলেও থেমে থাকার ফুরসত নেই শ্রমজীবীদের। জীবিকার তাগিদে ভ্যাপসা গরমেও কাজে বের হতে হচ্ছে সমাজের নিম্ন আয়ের এসব মানুষদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে গরমে নাকাল হওয়ার এমন চিত্র দেখা গেছে।
গরমে শুধু শ্রমজীবীদের ভোগান্তি বাড়েনি, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম পরিশ্রম করতে পারায় কমেছে আয়ও। গরমের কারণে অল্পতেই শরীরে ভর করছে ক্লান্তি। ফলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। এতে সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরও আয় কমেছে তাদের।
এদিকে গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে পানি ও পানীয়ের। নগরীর মোড়ে মোড়ে মিলছে শরবতের দোকান। সেসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন তৃষ্ণার্তরা। শ্রমজীবীদেরও মিটছে তৃষ্ণা, তবে তা ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর শরবতে।
ভ্যানে করে বিক্রি করা ডাবের দোকানগুলোতেও বেড়েছে ভিড়। তবে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে ডাবের দামও। সামর্থ্যবানরা স্বাস্থ্যকর ডাবের পানিতে ক্লান্তি দূর করতে পারলেও শ্রমজীবীদের ভরসা শুধু ফুটপাতের শরবত অথবা নিম্নমানের আইসক্রিম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
আরআইএস