ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার ডাসারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত দুইজনকেই হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর মধ্যে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডাসার উপজেলার পূর্ব বোতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

আহতরা হলেন, ওই গ্রামের তৈয়ব আলী মাতুব্বরের ছেলে ফেরদাউস মাতুব্বর (১৮) ও ফেরদাউসের মা মমতাজ বেগম (৫২)। অভিযুক্ত একই এলাকার আনসার উদ্দিন মাতুব্বারের ছেলে করিম মাতুব্বর (৫০)। ঘটনার পর তিনি পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বোতলা গ্রামের তৈয়ব আলী মাতুব্বরের সঙ্গে চাচাতো ভাই করিম মাতুব্বরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার দুপুরে তৈয়ব আলী মাতুব্বরের স্ত্রী মমতাজ বেগম বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছের পাতা রোদে শুকাতে দেয়। এতে বাঁধা দেয় করিম ও তার লোকজন। একপর্যায়ে মমতাজ বেগমের ওপর হামলা চালায় করিমের লোকজন। এ সময় মায়ের চিৎকার শুনে মমতাজের ছেলে ফেরদাউস এগিয়ে এলে মা ও ছেলে দুইজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। এদের মধ্যে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।  

মমতাজ বেগমের মেয়ে সাগরিকা আক্তার বলেন, আমার মা ও ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে করিম মাতুব্বর ও তার লোকজন। আমরা গরিব মানুষ, দিন এনে দিন খাই। আমাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর বিচার চাই।

আহত ফেরদাউস মাতুব্বর বলেন, আমার মা রোদে পাতা শুকাতে দেয়, এজন্য আমার চাচা করিম লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। আমাকে ও আমার মাকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এরই মধ্যে বিষয়টি ডাসার থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। মা ও ছেলের ওপর হামলাকারীদের ধরতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।