রাঙামাটি: বিল বেশি আসায় রাঙামাটি বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন শহরের এক ওয়ার্ডের চারটি গ্রামের হাজারের বেশি গ্রাহক। এসময় বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানান তারা।
রোববার (২৮এপ্রিল) সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে রাখেন এসব গ্রাহক।
ভুক্তভোগীদের দাবি, তারা দিনে এনে দিনে খেয়ে জীবন যাপন করছেন। তাদের নেই কোনো শিল্পকারখানা। এতো বিল তবে কি করে এলো! এত টাকা বিল কীভাবে পরিশোধ করবে তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী এসব মানুষদের বিলের কপিতে কাউকে ৬০ হাজার, কাউকে ৫০ হাজার টাকা বিল দেখানো হয়েছে। সর্বনিম্ন বিল পাওয়া গেছে দশ হাজার টাকা। অথচ সর্বোচ্চ বিল দুই হাজার টাকাও হয় না ওই চারটি গ্রামের বাসিন্দাদের।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছেন। তাদের যেখানে সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা বিল আসে সেখানে বিল এসেছে পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ পোস্ট পেইড মিটার খুলে প্রিপেইড মিটার লাগানোর সময় বকেয়া বিল সম্পর্কে তাদের অবহিত করেননি বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
জেলা শহরের পুরানবস্তি এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ সিরাজ বলেন, আমার বাড়িতে কোনো কলকারখানা নেই। প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও আমাকে ৬০ হাজার টাকা বিলের কপি দেওয়া হয়েছে। আমি কীভাবে এত টাকা পরিশোধ করব!
শরিয়ত এলাকার বাসিন্দা মো. জসীম উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, আমরা যেখানে প্রতিমাসে ৭০০ টাকা শুরু করে ৯০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে সেখানে ত্রিশ হাজার লেখা হয়েছে এবার। এ টাকা পরিশোধ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা এ বিলের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একই অভিযোগ করেছেন ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা রিফা আক্তার, শরীয়তপুর এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া বেগমসহ চারটি এলাকার অসংখ্য মানুষ।
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পোস্ট পেইড মিটার সরিয়ে সেখানে প্রি-পেইড মিটার বসানো হয়েছে। পূর্বের বিল বকেয়া থাকায় এমন বিল এসেছে।
প্রকৌশলী আরও বলেন, বিল বেশি এলেও গ্রাহকদের কিস্তি আকারে বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে। কারণ কোনো গ্রাহককে হয়রানি করা আমাদের কাজ নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এসএএইচ