ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তাপদাহে নাকাল ঢাকায় অবশেষে বৃষ্টি, স্বস্তিতে নগরবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৪
তাপদাহে নাকাল ঢাকায় অবশেষে বৃষ্টি, স্বস্তিতে নগরবাসী

ঢাকা: তীব্র তাপদাহে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে নাকাল ছিল নগরবাসী।  অবশেষে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে  বৃষ্টি শুরু হয়।  মিরপুর, উত্তরাসহ কোথাও কোথাও বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এই মুহূর্তে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।  তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এখনও রেকর্ড করা হয়নি।

তিনি বলেন, সবশেষ ১৭ এপ্রিল রাজধানীতে ১২ মিলি এবং ১৮ এপ্রিল ৭ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।  বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে।

ঢাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।  রাত ৮টা থেকেই মেঘ ডাকতে শুরু করে।  বজ্রের ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আকাশ।  বৃষ্টি যে খুবই কাছে, তা আর বুঝতে বাকি থাকে না গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসীর।  তাই মেঘের ডাক শুনে অনেকের মন আনন্দে নেচে ওঠে।  বৃষ্টিতে ভেজার প্রস্তুতি নিতে থাকেন কেউ কেউ।

রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি।  সেই সময় শনির আখড়া, পোস্তগোলা, সদরঘাট, ইসলামপুর, সুত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ কয়েকটি এলাকা থেকে বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়।  অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টি না হলেও আকাশে মেঘ ছিল।  এ সময় এলাকাগুলোতে শীতল বাতাসও বয়ে যায়। তবে সেই সময়ের বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, রাত সাড়ে ৯টার আগেই থেমে যায়।  

বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এসএমএ কালাম জানিয়েছেন, ১২টা ৫ মিনিটের দিকে শেওড়াপাড়া এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাফর আহমেদ জানান, মিরপুর ১৩ নম্বরে বৃষ্টি হচ্ছে। মিরপুর ১০ সহ পাশ্ববর্তী এলাকায়ও বৃষ্টির দেখা পেয়েছে নগরবাসী। তিনি জানান, বৃষ্টিতে শিশুরা ঘর ছেড়ে বাইরে এসে দৌড়াদৌড়ি করছে, যেন কত দিন পর বৃষ্টি নেমেছে।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম উদ দৌলা জানান, দক্ষিণখানে রাত পৌনে বারোটার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি।  এর আগে প্রচণ্ড গরম ছেড়েছিল।

সাধারণ মানুষের অনুভূতি সম্পর্কে তিনি জানান, মনে হচ্ছিল রাতটা বোধহয় বাইরে কাটালে স্বস্তি হতো।  কিন্তু সাড়ে ১১টার দিকে ধুলিঝড়, দমকা হাওয়া শুরু হলো৷ সঙ্গে বজ্রপাত ঘটিয়ে নেমে এলো বারিধারা।  আহা কী বৃষ্টি, কী অপরূপ সৃষ্টি!

রামপুরা এলাকা থেকে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আবাদুজ্জামান শিমুল জানান, ঘণ্টাখানেক ধরে থেমে থেমে মেঘের গর্জনের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে।  এ সময় দেখা যায়, আশেপাশের ভবনের বাসিন্দারা কেউ বারান্দায় কেউবা জানালা দিয়া হাত বাড়িয়ে সেই স্বস্তির বৃষ্টি স্পর্শ করছেন।  ‘বৃষ্টি’ ‘বৃষ্টি’ বলে কিশোর-কিশোরীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইফাত শরীফ জানান, দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস এবং বজ্রপাতে আকাশ ডাকছে।  কিন্তু এখনো বৃষ্টি শুরু হয়নি।  ঠান্ডা বাতাসের কারণে গরম কিছুটা কম অনুভব হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৪
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।