ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উগ্রবাদের বিস্তার রোধে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
উগ্রবাদের বিস্তার রোধে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান

ঢাকা: ধর্মভীরু মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র উগ্রবাদ বিস্তারের চেষ্টা করে। তারা অনলাইনে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তরুণদের দীনের পথ থেকে বিচ্যুত করে।

এদের হাত থেকে দেশ ও প্রজন্মকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (৪ মে) ‘অনলাইন ভিত্তিক উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে ধর্মীয় নেতাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের বক্তারা ধর্মীয় নেতাদের প্রতি এই আহ্বান জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদ।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব। তিনি বলেন, একদল মানুষ আছে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিশাল শক্তিকে নানাভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মভীরু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে আমাদের সমাজকে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি তারা তাদের সেই অপচেষ্টায় সফলও হয়েছে। ধর্মভীরু মানুষকে ধর্মীয় উন্মাদনায় আক্রান্ত হতে দেখেছি। এ ধরনের অপতৎপরতা শুধু যে বাংলাদেশের মূল চেতনা এবং সংবিধান পরিপন্থী তা-ই নয়, বরং এটি আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের যে শিক্ষা, তারও বিরোধী। এ ধরণের অপশক্তিকে রুখতে ইসলামী আলেম এবং বিজ্ঞজনদের অবদান রাখতে হবে।

সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে।  এ দেশের কোটি কোটি মুসলমানের জন্য দিশারি ইমামগণ। তারা জনগণকে সম্প্রীতির কথা বলেন। তাই দেশে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো আওলাদ হোসেন বলেন, আধুনিক প্রচার মাধ্যমে এতই শক্তিশালী যে, এর খারাপ ব্যবহারগুলো হয় খুবই ভয়ানক। এই অপব্যবহারকে সহজ করে দেখা যাবে না। অনলাইন প্রচার মাধ্যমের অপব্যবহার প্রতিরোধের জন্য প্রথমত ইমামদের এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় বিজ্ঞজনের কথা এই সমাজকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

সেমিনারে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দীন ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামি চিন্তাবিদ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মাদ নাছিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব ড. মহা. বশিরুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।