ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধী ভাতা পাঁচ হাজার টাকা করাসহ ১১ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৪
প্রতিবন্ধী ভাতা পাঁচ হাজার টাকা করাসহ ১১ দাবি

ঢাকা: আসন্ন বাজেটে (২০২৪-২৫) প্রতিবন্ধী ভাতা ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা করাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন। রোববার (০৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বি-স্ক্যানের সদস্য মেজর (অব.) জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ছিল ২০০ টাকা, যা ধীরে ধীরে বেড়ে ২০২৪ সালে এসে ৮৫০ টাকা হয়েছে। গত ১৯ বছরে ভাতা বেড়েছে মাত্র ৬৫০ টাকা। তাহলে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়াতে কত বছর লাগবে? 

তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ প্রতিবন্ধী যেখানে বেকার বা স্বল্প মজুরিতে কর্মরত। অনেকে পরিবারের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে প্রতিবন্ধী ভাতা তাদের জীবনের একটি বড় অবলম্বন। আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা পাঁচ হাজার টাকা করাসহ ১১ দফা দাবি জানাই।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিবন্ধী ভাতার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় প্রতিবন্ধী ভাতা পাঁচ হাজার টাকা, নেপালে দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে প্রায় চার হাজার টাকা পর্যন্ত, ভারতের দিল্লিতে দুই হাজার ৫০০ রুপি, পাকিস্তানে দুই হাজার রুপি ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।

১১ দফা দাবি 

২০২৪-২৫ জাতীয় বাজেটে প্রতিবন্ধী ভাতা মাসিক ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি মাসিক দুই হাজার টাকা করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভাতা ও উপবৃত্তি উভয়ই বরাদ্দ দিতে হবে।

অবিলম্বে প্রতিবন্ধী মানুষের সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিশেষ নীতিমালা (কোটা) প্রণয়ন করতে হবে।

চলতি বাজেটেই বাংলাদেশ ব্যাংকে এক হাজার কোটি টাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উদ্যোক্তা তহবিল গঠন করতে হবে।

অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যকর করতে হবে।

বাংলা ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রণয়ন এবং দেশের ৬৪ জেলার সাধারণ বিদ্যালয়ে বাংলা ইশারা ভাষাযুক্ত সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু ও আদালতসহ সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বাংলা ইশারা ভাষার দোভাষী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষা ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অভিন্ন জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
 
নিরন্ন, শ্রমজীবী-মেহনতি এবং অটিস্টিকসহ সব গুরুতর প্রতিবন্ধীকে আত্মনির্ভরশীল করতে আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ সব পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ৬ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করতে হবে।

অটিস্টিক, বুদ্ধিসহ গুরুতর প্রতিবন্ধীদের জন্য স্বাস্থ্য ও কেয়ারগিভার ভাতা চালু করতে হবে।

প্রবেশগম্য অবকাঠামো এবং গণপরিবহন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ, স্থানীয় থেকে জাতীয়, সব পর্যায়ে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের সংগঠক সালমা মাহবুবের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ইফতেখার মাহমুদসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৪
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।