ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘিওরে খেটে-খাওয়া মানুষের পছন্দের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি 

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
ঘিওরে খেটে-খাওয়া মানুষের পছন্দের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি 

মানিকগঞ্জ: দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে মানিকগঞ্জের ঘিওরের বিভিন্ন গ্রামে জমে উঠতে শুরু করেছে প্রচারণার মাঠ। এরই মধ্যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি।

বুধবার (৮ মে) সকাল থেকেই শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি বানিয়াজুরি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই আগ্রহ বাড়ছে ভোটারদের মাঝে। শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর উঠান বৈঠকগুলোতে ভোটারের ঢল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে তারুণ্যের পাশাপাশি বয়োজ্যেষ্ঠ নারী-পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। এলাকার মুরুব্বিসহ বিভিন্ন বয়সী ভোটারও ভালোবেসে তার (মাহাবুবুর রহমান জনি) সঙ্গে গিয়ে শালিক প্রতীকের জন্য ভোট চাচ্ছেন।

বানিয়াজুরি ইউনিয়নের তারাইল গ্রামের ৭১ বছর বয়সী আব্দুল কাদের বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যত জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন করছেন তাদের মধ্যে মাহাবুবুর রহমান জনির নাম এখন সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে। শিক্ষিত মার্জিত মানুষ হওয়ায় প্রতিটি মানুষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকেই বেছে নেবেন বলে আমার মনে হয়। তিনি এর আগে জেলা পরিষদ নির্বাচনেও দুইবার সদস্য হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনির কাছে মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরের জন্য কিছু চেয়ে খালি হাতে ফেরত আসেনি কেউ। এরকম সাদা মনের মানুষকেই ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী করবেন।  

ওই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নারী আমিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে-নাতি সব সময় বলে জনি অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। পাড়ার লোকজনের কাছেও শুনছি সে মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। সেই কারণেই জনির ব্যবহার দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি, এই রকম মানুষ কমই দেখা যায়। এ ধরনের মানুষকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ সমাজে প্রয়োজন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন বিজয়ী হতে পারেন।

ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শালিক প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি শুধু সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো বলে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি তাতে আমি মুগ্ধ। ছাত্রজীবন থেকে ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তারুণ্যের সঙ্গে আমার একটা ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে। যে গ্রামেই যাচ্ছি উঠান বৈঠক করতে, সেখানেই আমার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং তারা নিজেরাই আমার জন্য শালিক প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা বলেন, ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান, ৭ জন ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) এবং ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।