ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পালিয়ে এলো মিয়ানমারের আরও ৫ সীমান্তরক্ষী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
পালিয়ে এলো মিয়ানমারের আরও ৫ সীমান্তরক্ষী

কক্সবাজার: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও পাঁচ সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে টেকনাফে নাফ নদীর সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ পয়েন্ট দিয়ে ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকাযোগে বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসেন। এসময় তাদের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। তারা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পোশাকে ছিলেন।

বিজিবির এ পাঁচ সদস্যের নৌকাটি নাফ নদীর কিনারায় পৌঁছলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘিরে ফেলেন। বিজিপি সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ ও আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে বিজিপির সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিজিবির সদস্যরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে  জানান।

সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজুও একই তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণের পর বিকেল ৫টার দিকে বিজিপি সদস্যদের গাড়ি করে ২০ কিলোমিটার দূরের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত রোববার নাফ নদীর শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলার যোগে বিজিপির ৮৮ জন সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তাদেরও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
এসবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।