নাটোর: নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় পরাজিত প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রাতে শহরের তালতলা হাফরাস্তা এলাকায় মিলনের চেম্বার থেকে গাড়ি চালক বাশারকে এবং রাতে অভিযান চালিয়ে জামিলুর রহমান মিলনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনায় নির্যাতিত রুবেল ইসলাম গাজীর (৩২) বাবা আলম গাজী বাদী হয়ে মিলনকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জামিলুর রহমান মিলন বলেন, উল্টো রাশেদ নামে তার একজন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের কাপপিরিচ মার্কার পক্ষে ভোট করেন তালতলা হাফরাস্তা এলাকার আলম গাজীর ছেলে রুবেল ইসলাম।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলনের নির্দেশে তার গাড়ির চালক বাশার ও তার কর্মীরা রুবেল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে। এতে রুবেলের হাত, পা ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়।
পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের চেম্বার থেকে রুবেল ইসলামকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রথমে মিলনের গাড়ি চালক বাশারকে গ্রেপ্তার করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নেওয়া হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, মিলনকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী রুবেলের বাবা আলম গাজী। ওই মামলায় মিলন ও তার গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এসএম