ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নড়িয়ায় গাছে ঝুলছিল বৃদ্ধের মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
নড়িয়ায় গাছে ঝুলছিল বৃদ্ধের মরদেহ প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মুজিবুর রহমান মাদবর (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (১০ মে) সকালে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি গ্রামে আম গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

নিহত মুজিবর রহমান ওই গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়ন মাদবরকান্দি গ্রামে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকেন না মুজিবুর ও আমিরজান দম্পতি। কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরেন তারা। শুক্রবার সকালে স্বামী মুজিবুরকে সকালের নাস্তা দিয়ে পাশের বাড়ি থেকে পানি আনতে যান আমিরজান। পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখতে পান তার স্বামীর মরদেহ ঘরের কোণে থাকা একটি আম গাছে ঝুলছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত মুজিবুরের স্ত্রী আমিরজান বলেন, আমি আমার স্বামীরে মুড়ি খাইতে দিয়া পাশের বাড়িতে গেছিলাম পানি আনবার। আইয়া দেখি তার লাশ আম গাছে ঝুলতাছে। পরে বাড়ির সবাইরে ডাইকা আনলে সুমন মাদবরসহ তার লোকজন আমারে মেহগনি গাছের লগে বাঁইধা রাখছিল।  

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন মাদবর বলেন, ‘গতকাল রাতে স্ত্রী আমিরজান ও মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়া করেছেন মুজিবুর মাদবর। আর সকালে এমন ঘটনা ঘটার পরে আমিরজান বেগম স্বাভাবিক ছিলেন। ঘটনার পরে তার নাতিসহ অন্যরা পালিয়ে চলে যান। এ সময় আমিরজান চলে যেতে চাইলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? এরপর সে চলে যেতে চাইলে আমি তার হাতে ধরে আটকে রেখেছি। তাকে আমি বেঁধে রাখিনি। ’

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গলায় দড়িসহ আম গাছ থেকে বৃদ্ধ মুজিবুর মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।