ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাসে গেটলক সিস্টেম: একদিনে ২৩ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
বাসে গেটলক সিস্টেম: একদিনে ২৩ মামলা

ঢাকা: রাজধানীর যানজট নিরসনে আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে ভ্রমণে যেমন যাত্রীদের সময় বাঁচবে তেমন সড়কে যানজট অনেকাংশে নিরসন হবে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিস্টেমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত আন্তঃজেলা বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে পারবে না। ফলে যানজট অনেকটাই কমবে। ভবিষ্যতে এই সিস্টেমটাকে উত্তরা পর্যন্ত বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় চলছে আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম।

সোমবার (১৩ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট বাস ছাড়া অন্য কোথাও কোনো বাসকে দাঁড়াতে বা যাত্রী ওঠাতে দিচ্ছেন না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিএমপি ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সদস্যরা। এতে মহাখালী সড়কে আগের মতো যানজট দেখা যায়নি। যদি কোনো সড়কে বাস দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে ট্রাফিক পুলিশ সেখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না।

ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগ জানিয়েছে, রোববার (১২ মে) দুপুর থেকে আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম কার্যক্রম চালু করে ডিএমপি ট্রাফিকের গুলশান বিভাগ। গেটলক সিস্টেম চালুর পর আইন অমান্য করে যত্রতত্র যাত্রী তোলায় ২৩টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে মহাখালী টার্মিনাল এলাকায় সাতটি, আইসিডিডিআরবি এলাকায় পাঁচটি, আমতলী এলাকায় ছয়টি, সৈনিক ক্লাব এলাকায় দুটি ও কাকলীতে তিনটি বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গেটলক সিস্টেম অমান্য করলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এ বিষয়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল একটি সংবেদনশীল জায়গা। সব ধরনের সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যাতে যাত্রীরা কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন। যে কারণে আমরা কখনো কঠোর হই বা একটু নরমভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আন্তঃনগর গেটলক সিস্টেম নগরবাসী ও যাত্রীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত গেটলক সিস্টেম তদারকি করবে। কোনো পরিবহন এই নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া সব বাস বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী ওঠায়। এরফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী ওঠাবে না।

তিনি বলেন, মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নাম্বারসহ একটি ‘প্রস্থান পত্র’ দেওয়া হবে। পরে বনানীতে আমাদের সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা সেখানে দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি না।

এদিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিবহন মালিক সমিতি জানায়, মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছনে দুই একরের বেশি সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন সেটা উচ্ছেদ করে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেছে। এই জায়গার কাজ শেষ হলে মহাখালীর বাস টার্মিনালের সামনে আর বাস পার্কিং করার প্রয়োজন পড়বে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এসজেএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।