সাভার (ঢাকা): লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে সাভারের ঢাকা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন সেবাগ্রহীতারা। পরে ডিজিএম অফিসে অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।
বুধবার (২ঌ মে) দুপুরে জামগড়ার ছয়তলার বেরন এলাকার পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অফিস ঘেরাও করেন ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সেবাগ্রহীতারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত মাস থেকে জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলেও গত তিনদিন ধরে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই ওয়ার্ডের হাজারো মানুষ। টানা ৩৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে পানি সংকটে রয়েছে স্থানীয়রা। পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পল্লি বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় রায়হান বলেন, আমাদের টানা ৩৫ ঘণ্টা লোডশেডিং মোকাবিলা করতে হয়েছে। ফলে পানি সংকটে রান্নাবান্না বন্ধ ছিল। অনেকে দোকান থেকে বোতলজাত পানি কিনে রান্নার কাজ করেছেন। আমরা লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক ভোগান্তিতে রয়েছি।
কুলসুম নামের এক পোশাকশ্রমিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত হানার পর দিন রাত পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ পাইনি। এ সময় আমরা হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়ে কর্মস্থলে গিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব না থাকলেও এই এলাকায় আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আলো না থাকায় আমাদের সন্তানরা ঠিকমতো লেখাপাড়াও করতে পারছে না। লোডশেডিংয়ের সমাধান চাই।
ঢাকা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার লাবিবুল বাশার মোহাম্মদ আলী বলেন, সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। জাতীয় গ্রিড থেকেই এখানে ৩০/৪০ শতাংশ লোডশেডিং দিচ্ছে। এখানে আমাদের কী করার আছে?
তিনি বলেন, দুপুরে বেশকিছু লোকজন আমাদের অফিসে এসেছিলেন। তাদের আমরা বুঝিয়ে বলায় অভিযোগ জমা দিয়ে চলে গেছেন। জাতীয় গ্রিড থেকে লোডশেডিং বন্ধ হলেই এখানকার সমস্যা সমাধান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
এমজেএফ